স্টাফ রিপোর্টার: প্রতারণার মাধ্যমে সুরাইয়া পারভিনকে বিয়ে করেছিলেন রেল কর্মচারী মো. রাসেল ইসলাম (২৯)। পরে দুইবছর সংসার করেন ওই নারীর সাথে। দাম্পত্য জিবনে তিনি রেলে মাস্টার রোলে চাকরী করতেন। পরে চাকরী পরমেন্ট করতে টাকা লাগবে। এমন কথা বলে সে তাঁর স্ত্রী‘র গচ্ছিত ৬ লাখ টাকা প্রতারণা মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। চাকরী পরমেন্ট হয়ার পর রাসেল তার স্ত্রী‘কে তালাক দিয়ে পূণরায় বিবাহ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী মহানগরীর উপকন্ঠ বেলপুকুর থানাধিন বেলপুকুর এলাকায়। প্রতারক রাসেল পুঠিয়া থানাধিন হলিদাগাছী দিঘলকান্দি হামিদপুরি গ্রামের মো. জয়নাল শেখের ছেলে। সে বর্তমানে ঈশ^রর্দী লোকোসেডে খালাসী পদে ফুয়েল সেকশনে কর্মরত।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী নারী সুরাইয়া পারভীন রাজশাহীর বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৩নং আদালতে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৬ ডিসেম্বর রাসেল আদালতে উপস্থিত হয়ে জমিনের আবেদন করেন। কিন্তু তার জামিন না মঞ্জুর করে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
সুরাইয়া পারভীন জানান, সংসারে সুখ আসবে। সুখে থাকবো। এমন আশা নিয়ে মা-বাবার দেয়া ৯ভরি স্বর্ণলংকার, নগদ ২ লাখ টাকা ও ৬ কাঠা জমি বিক্রি করে প্রতারক রাসেলকে রেলের খালাসি পদে চাকরীর জন্য টাকা দেই। চাকরীও পারমেন্ট হয়। কিন্তু সে আমার সাথে প্রতারণা করে তালাকের কাগজ পাঠায়। এরপার সে আবার বিয়ে করে।
তিনি আরও বলে, আমার জানা ছিলো না। সে এর আগেও দুইটা বিয়ে করেছিলো। এরমধ্যে রাসেলের প্রথম স্ত্রী নিজ শয়নকক্ষে আত্মহত্যা করে। এসব ঘটনা গোপন রেখে সে আমার সাথে প্রতারণার মাধ্যমে বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তারপরও ভাগ্যকে মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু সে আমার সাথেও প্রতারণা করবে এমনটি ভাবিনি!
এক প্রশ্নে জবাবে সুরাইয়া বলেন, আমি যতটুকু জানি প্রতারনার মাধ্যমে বিয়েই তার নেশা। আমি তার সাথে সংসার চাইনা। আমার পাওনা টাকা আর তার প্রতারণার শাস্তি চাই বলেও জানান তিনি।
এ ব্যপারে উর্দ্ধতন উপ-প্রকৌশলী ইনচার্জ লোকোসেড মো. শারেক রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মো. রাসেল ইসলাম কর্মস্থল থেকে তিনদিনের ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু সে ১৮দিন ধরে অনুস্থিত রয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
মতিহার বার্তা / এফ কে
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.